কোন সিরাপ খেলে ওজন বাড়ে
কোন সিরাপ খেলে ওজন বাড়ে এবং আপনি কি আপনার ওজন নিয়ে বেশ চিন্তিত,রোগা বা পাতলা শরীরের জন্য কি আপনার বিয়ে
হচ্ছে না তাহলে আপনি কোন রকম কষ্ট ছাড়া শুধুমাত্র সিরাপ খাওয়ার মাধ্যমে আপনি
আপনার ওজন বাড়াতে পারেন।
আমরা আমাদের রোগা শরীর নিয়ে বেশ অপমান জনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়।যেমন-ঝর
হলেই উড়ে যাবি,ফু দিলেই পরে যাবি এসব আপত্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যায়।তাই
আপনাদের জন্য কোন কষ্ট ছাড়ায় সিরাপ খাওয়ার মাধ্যমে ওজন বাড়ানোর টিপস নিয়ে
এসেছি।
পোস্ট সুচিপত্রঃকোন সিরাপ খেলে ওজন বাড়ে
- কোন সিরাপ খেলে ওজন বাড়ে
- ওজন বাড়ানোর জন্য সিরাপ কেন ব্যবহৃত হয়
- ওজন বাড়ানোর সিরাপের উপকারিতা
- ওজন বাড়ানোর সিরাপ কিভাবে কাজ করে
- দেহের গঠন অনুযায়ী সিরাপ নির্বাচন
- সিরাপ খাওয়ার সময় সতর্কতা
- সিরাপের অপব্যবহার ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- সিরাপের সাথে খাদ্য তালিকা ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন
- চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার গুরুত্ব
- ওজন বাড়াতে বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট
কোন সিরাপ খেলে ওজন বাড়ে
কোন সিরাপ খেলে ওজন বাড়ে তা মূলত নির্ভর করে আপনার দেহে চাহিদার উপর।বর্তমানে বাজারে কিছু বিশেষ ধরনের সিরাপ পাওয়া যায় যা আমাদের ওজন বৃদ্ধিতে
বিশেষভাবে সহায়ক। নিচে কিছু সিরাপ এর নাম দেওয়া হল-Appetex syrup,protinex
syrup,creapure syrup ইত্যাদি। এছাড়াও বিশেষ ধরনের কিছু সাপ্লিমেন্ট পাওয়া
যায় যা আমাদের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন মিল্ক সাপ্লিমেন্ট বাদামের
সাপ্লিমেন্ট হানি সাপ্লিমেন্ট ।
Appetex syrup: এই সিরাপটি মূলত খাবারের প্রতি অনীহা কমিয়ে খাবারের প্রতি
আগ্রহ বাড়ানোর জন্য কাজ করে । এই সিরাপটিতে সাধারণত ভিটামিন খনিজ লবণ ও
অ্যামিনো এসিড থাকে যা আমাদের শরীরের পুষ্টিগুণাগুণ ও শোষণ রোধে সাহায্য করে
এবং আমাদের শরীরের হজম শক্তি বাড়িয়ে খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করে।
Protinex syrup: এটি সাধারণত প্রোটিনের সংমিশ্রণে তৈরি একটি সিরাপ যা আমাদের
শরীরের পেশী ও গ্রন্থি বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয় । এছাড়াও এই সিরাপটি আমাদের
শক্তি বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হয়। আমাদের শরীরের ওজন বাড়াতে প্রোটিনের চাহিদা
অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
Creapure Syrup: এই সিরাপটি মূলত আমাদের শরীরের সারাদিনের সমস্ত ক্লান্তি দূর
করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই সিরাপটি আমাদের শরীরের বেশি ও গ্রন্থি তৈরিতে
বিশেষভাবে দায়িত্ব পালন করে।
ওজন বাড়ানোর জন্য সিরাপ কেন ব্যবহৃত হয়
অনেক মানুষের মূলত সঠিক ওজনের তুলনায় অনেক কম ওজন হয়ে থাকে। তাদের শরীরে
মেটাবলিজম খুব দ্রুত কাজ করে ফলে যেসব খাবার তারা গ্রহন করে সেসব খাবার খুব
তাড়াতাড়ি পরিপাক হয়ে দেহ থেকে বের হয়ে যায়। বাংলাদেশের অনেক মানুষ তাদের
ওজন বাড়াতে হারবাল বা মেডিকেল কিছু সিরাপ ব্যবহার করে থাকে যাতে তারা দ্রুত
নিজের ওজন বাড়াতে পারে।
এই সিরাপ গুলিতে এমন উপাদান থাকে যা আমাদের দেহের খাদ্য শোষণের ক্ষমতা বাড়ায়
ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং দেহকে স্থায়ীভাবে মোটা করে। এই সিরাপ
গুলি মানুষের বিভিন্ন পর্যায় ও শারীরিক দিক বিবেচনা করে নির্বাচন করা হয় যাতে
তারা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ও কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া নিজের ওজন বাড়াতে
পারে।
বর্তমান যুগে ওজন বাড়ানোর সিরাপ অনেকেরই কার্যকর সমাধান হতে পারে। সাধারণত
যাদের দেহে খাবারের রুচি কম তারা এ ধরনের সিরাপ খেয়ে খাবারের রুচি বাড়িয়ে
নিজের ওজন বাড়াতে পারে। এই সিরাপটি খাবারের প্রতি অনীহা কমিয়ে খাবারের প্রতি
আগ্রহ সৃষ্টি করে এছাড়াও দেহের বেশি বা গ্রন্থি সুগঠিত করে।
ওজন বাড়ানোর সিরাপের উপকারিতা
ওজন বাড়ানোর সিরাপ গুলি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের বেশ কিছু উপকারিতা হয়েছে।
প্রথমত এটি আমাদের শরীরের খাদ্য শোষণ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আমাদের দেহে পুষ্টি
সাধন করে। এর ফলে আমাদের শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে যা আমাদের ওজন
বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে সহায়ক। ওজন বাড়ানোর সিরাপ আমাদের শরীরে দ্রুত শক্তি
বাড়ায় এবং শরীরের ফিটনেস বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এই সিরাপ গুলি সাধারণত ভিটামিন খনিজ লবণ ও অ্যামিনো এসিডের সমন্বয়ে গঠিত হয়
যা আমাদের শরীরের পুষ্টি সাধন করে ও শক্তি উৎপাদন করে। একইসঙ্গে এটি আমাদের
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। আপনি যদি আপনার শরীরের ওজন সহজে কোন
কষ্ট ছাড়া বাড়াতে চান তবে ওজন বাড়ানো সিরাপ আপনার জন্য সহজ সমাধান হতে পারে।
ওজন বাড়ানো সিরাপের অনেক উপকারিতা রয়েছে। অনেক মানুষ আছে যারা তাদের ওজন
কোনরকম কষ্ট ছাড়া খুব সহজেই ওজন বাড়াতে চান। তারা এই সিরাপটি খেয়ে তাদের ওজন
বাড়াতে পারেন।
আরো পড়ুনঃচুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা
ওজন বাড়ানোর সিরাপ কিভাবে কাজ করে
ওজন বাড়ানো সিরাপ গুলি মূলত খাদ্যের ওপর চাহিদা বৃদ্ধি করে ও খাদ্যে শোষণ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্যের তুলনায় অনেক কম থাকে। ওজন
বাড়ানোর সিরাপে ভিটামিন বি১২ খনিজ লবণ প্রোটিন ও অ্যামিনো এসিড যুক্ত থাকে যা
আমাদের শরীরের খাদ্যের অনীহা কমিয়ে খাবারের রুচি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
এছাড়াও ভিটামিন খনিজ লবণ আমাদের শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শক্তি যোগান
দেয়, দেহের বেশি ও গ্রন্থি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এ ধরনের সিরাপ বিভিন্ন
রকমের হয়ে থাকে একেকটার কাজ একেক রকম হয়ে থাকে। কোনোটা শরীরের পুষ্টি শোষণ
ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে এবং কোনটা দেহের পেশি ও গ্রন্থি বৃদ্ধি
করে দেহের ওজন বাড়ায়।আমরা আমাদের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের জন্য প্রযোজ্য সিরাপটি গ্রহণ করে
আমাদের শরীরের ওজন বাড়াতে পারি ।
দেহের গঠন অনুযায়ী সিরাপ নির্বাচন
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ধরনের ওজন বাড়ানোর সিরাপ পাওয়া যায়। ওজন বাড়ানোর
সিরাপের সবগুলোর কাজ একরকম নয় বরং ভিন্ন ভিন্ন। আমরা আমাদের শরীরের চাহিদা ও
দেহের গঠন অনুযায়ী সিরাপ নির্বাচন করতে পারি। তবে আমাদের সিরাপ নির্বাচনে
বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আমাদের সকলের দেহের গঠন একরকম নয়। কিছু মানুষের মেটাবলিজম অর্থাৎ হজম শক্তি
খুব দ্রুত কাজ করে ফলে তারা তাদের ওজন বাড়াতে পারে না। এমন মানুষদের জন্য
বিশেষ ধরনের সিরাপ তৈরি করা হয় যা তাদের ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। আবার
আমাদের মধ্যেই এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা তাদের ওজন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে
বাড়াতে চান তাদের জন্য সিরাপ গ্রহণ একেবারেই ভিন্ন।
সিরাপ খাওয়ার সময় সতর্কতা
সিরাপ খাওয়া আমরা যতটা সহজ মনে করি ততটা সহজ নয় । ওজন বাড়ানোর সিরাপ
ব্যবহারের আগে আমাদের কিছু সতর্কতা মেনে চলা উচিত। ওজন বাড়ানোর জন্য কিছু কিছু
সিরাপ রয়েছে যেগুলো ব্যবহারের ফলে আমাদের বিভিন্ন অঙ্গের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব
পড়তে পারে। আমাদের যেসব অঙ্গের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে তার মধ্যে
রয়েছে কিডনি লিভার ফুসফুস ইত্যাদি। এক্ষেত্রে আপনি এসব ধরনের সিরাপ ব্যবহারের
পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
সিরাপ ব্যবহারের পূর্বে আরও একটি সতর্কতা হলো প্রত্যেকটি সিরাপের ডোজ থাকে। ওজন
বাড়ানোর সিরাপ খাওয়ার পূর্বে সিরাপের ডোজ জেনে নিতে হবে এবং সঠিক ডোজ পূরণ
করতে হবে । সঠিক ডোজ পূরণ হয়ে গেলে সিরাপ খাওয়া বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত সিরাপ
খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।এছাড়াও যারা দীর্ঘদিন যাবত শারীরিক সমস্যা ও দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন তারা
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওজন বাড়ানোর সিরাপ খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃএলার্জিতে নিমপাতার ব্যবহার
সিরাপের অপব্যবহার ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
যেকোনো সিরাপ বা ওষুধ ব্যবহারের পূর্বে তার অপব্যবহার ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সম্পর্কে আমাদের সকলেরই অবগত থাকা উচিত। কোন সিরাপ বা ওষুধের অতিরিক্ত পরিমাণ
ব্যবহার করা ঠিক নয়। ওজন বাড়ানোর সিরাপের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে
ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ,অ্যানিমিয়া,থাইরয়েড এবং হরমোন জনিত সমস্যার সম্মুখীন
হতে পারে।
ওজন বাড়ানোর কিছু কিছু সিরাপ রয়েছে যেগুলো অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে শরীরের
বিভিন্ন অঙ্গের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা প্রথমে অল্প এবং ভবিষ্যতে বড়
আকার ধারণ করতে পারে। যেমন কিডনি,লিভার,ফুসফুস,হৃদ যন্ত্র ইত্যাদি সমস্যা দেখা
দিতে পারে। অতএব সিরাপ গ্রহণের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী।
সিরাপের সাথে খাদ্য তালিকা ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন
ওজন বাড়ানোর জন্য আমাদের শুধুমাত্র সিরাপ খেলেই চলবে না বরং সিরাপ খাওয়ার
পাশাপাশি আমাদের নিয়মিত খাদ্য তালিকা ও জীবনযাত্রার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
ওজন বাড়ানোর জন্য সিরাপ খাওয়ার পাশাপাশি আমাদের নিয়মিত খাদ্য তালিকা ও সঠিক
খাদ্য তালিকা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী।
আপনার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন প্রোটিন,চর্বি,কার্বোহাইড্রেট,ভিটামিন ও
খনিজ লবণ থাকতে হবে যাতে আপনার শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গুলো সঠিক
পরিমাণে পায়। পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রচুর পরিমাণে পানি পান ও ভালো মানসিক অবস্থা
রাখতে হবে যাতে আপনার ওজন সুস্থভাবে বাড়তে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার গুরুত্ব
কোন ধরনের ঔষধ সিরাপ বা খাদ্য পণ্য ব্যবহারের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া
অত্যন্ত জরুরী। চিকিৎসক আপনার শরীরের অবস্থা গঠন বুঝে আপনার জন্য কোনটা সঠিক
হবে এবং ভালো হবে বুঝে আপনাকে পরামর্শ দেবেন। আপনার শরীরের অবস্থা এবং দেহের
গঠন অনুযায়ী সিরাপের পরিমাণ বাড়িয়ে বা কমিয়ে ব্যবহারের নির্দেশনা বলে
দেবেন।
যেহেতু প্রত্যেকটি মানুষের শরীরের গঠন বৃদ্ধি সাধন ক্ষয় পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা ভিন্ন ধরনের তাই সঠিক পরামর্শ ছাড়া সিরাপ ব্যবহার থেকে বিরত
থাকুন।এছাড়াও এমন ধরনের অনেক সিরাপ রয়েছে যেগুলো অতিরিক্ত ব্যবহার শরীরের
জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আপনি ব্যবহারের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে আপনি
সেসব মারাত্মক ক্ষতির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃবেসন ও চালের গুড়ার ফেসপ্যাক
ওজন বাড়াতে বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট
যারা সহজে ওজন বাড়াতে পারেন না তাদের জন্য সঠিক সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার একটি
কার্যকর উপায় হতে পারে। ওজন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকারী সাপ্লিমেন্ট
রয়েছে। আমাদের শরীরের চাহিদা ও দেহের গঠন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সাপ্লিমেন্ট
নির্বাচন করতে হবে।
প্রোটিন সাপ্লিমেন্টঃপ্রোটিন সাপ্লিমেন্ট আমাদের শরীরে বিশেষভাবে পেশী গঠন ও শক্তি উৎপাদন করতে সহায়ক। যদি আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন না থাকে, তাহলে এটি আপনার শরীরের পেশি গঠন ও শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে আপনার শরীরে ওজন বাড়াতে পারেন।এছাড়াও প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট আমাদের শরীরের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণে
বিশেষভাবে সহায়ক।ক্যালোরি গেইনার সাপ্লিমেন্টঃ ক্যালোরি গেইনার সাপ্লিমেন্ট গুলির মধ্যে রয়েছে
উচ্চমাত্রায় ক্যালরি ও পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য
করে। যারা সাধারণত খাবারের মাধ্যমে পর্যাপ্ত ক্যালরি গ্রহণ করতে পারেন না এই
সাপ্লিমেন্টটি মূলত তাদের জন্য। এটি আমাদের শরীরের অতি সহজে অধিক ক্যালোরি
বৃদ্ধি করে দ্রুত ওজন বাড়তে সাহায্য করবে। এছাড়াও এটি আমাদের শরীরের পেশী
তৈরিতে বিশেষভাবে সহায়ক।
ক্রিয়েটিন সাপ্লিমেন্টঃ ক্রিয়েটিন মূলত প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি
একটি সাপ্লিমেন্ট যা আমাদের শরীরে শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করবে এবং দ্রুত আমাদের
শরীরের ওজন বাড়িয়ে তুলবে। এটি আমাদের শরীরের শক্তি ও কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করে। যার ফলে আমাদের শরীর অতি দ্রুত পেশি তৈরি করতে সক্ষম হয়।
মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্টঃ মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গুলো বিভিন্ন ধরনের
ভিটামিন ও খনিজ উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। এই সাপ্লিমেন্টটি আমাদের শরীরের
বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের যোগান দিয়ে থাকে। এটি সাধারণত আমাদের
শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে শক্তি উৎপাদন করতে সহায়ক। সঠিক পুষ্টি শরীরের
মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরের ওজন বাড়ানোর
প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
মিনারেল সাপ্লিমেন্টঃ এই সাপ্লিমেন্টটি জিংক আইরন পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ একটি সাপ্লিমেন্ট। এটি আমাদের শরীরের খনিজ উপাদানের ঘাটতি
পূরণ করে এবং আমাদের শরীরকে কাজের উপযোগী করে তোলে। এছাড়াও এই সাপ্লিমেন্ট
আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্রম সুস্থভাবে পরিচালনা করতে
সাহায্য করে।
লেখকের মন্তব্য
আমার মতে ওজন বাড়ানোর জন্য সিরাপ বা ঔষধ প্রাথমিক বা ক্ষণস্থায়ী সমাধান হতে
পারে। ওজন বাড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক উপায় যেমন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত
ব্যায়াম পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে সঠিক ও
স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়ানো যেতে পারে।
বিডি টিপস কর্নারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url