রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে চাইলে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় উচ্চগুণ সম্পন্ন ক্যালরিযুক্ত
খাবার রাখা উচিত।এর পাশাপাশি কিছু টিপস ও ট্রিকস ফলো করলে আপনিও হবেন
সুস্বাস্থ্য,সুঠম ও ফিটনেস শরীরের অধিকারি।
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং রোগা শরীর মোটা করতে সুষম খাদ্যের গুরুত্ব
অপরিসীম।দেহে ক্যালরি,পুষ্টি,ভিটামিন কমে গেলে শরীর রোগা হয়ে যায় এবং শরীরে
বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি বাসা বাঁধে।
আমরা অনেকেই আমাদের রোগা চেহারা বা শরীর নিয়ে বেশ চিন্তিত থাকি।অনেকেই আবার রোগা
চেহারার জন্য বিভিন্ন ভাবে ট্রল বা আপত্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পরতে হয়(ঝড়ে উড়ে
যাবি,পাটখড়ির মতো চেহারা ইত্যাদি)।রোগা থেকে মোটা হতে হলে শুধু বেশি বেশি খাবার
খেলেই হয় না বরং খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কিছু টিপস ফলো করে চলতে হবে।
দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পুষ্টিগুন সম্পন্ন খাবার খেতে হবে।ওজন বাড়ে এমন
ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে।এছাড়াও কাঠবাদাম,পেস্তা বাদাম,আখরোট,কাজু বাদাম,
কিসমিস,খেজুর,পনির,ক্রিম,মুরগির মাংস,আলুবখরা ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমানে ফ্যাট
রয়েছে । এসব খাবার আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।এতে থাকা ফ্যাট আপনার রোগা
শরীর মোটা করতে অনেকটাই সাহায্য করবে।
রোগা থেকে মোটা হতে হলে সঠিকভাবে খাবার গ্রহন করা,ব্যায়াম করা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।দিনে প্রচুর পরিমানে ক্যালরি গ্রহন করতে হবে তবে সেটা স্বাস্থ্যকর
উপায়ে হতে হবে। প্রতিদিন আপনার খাদ্য চাহিদার থেকে বেশি পরিমান খাবার খেলে আপনি
আপনার ওজন বাড়াতে পারেন।দিনে ৬-৭ টি পরিমান শুকনো খাবার খেতে হবে যাতে আপনি সহজেই
আপনার প্রয়োজনের তুলনায় অধিক ক্যালরি পেয়ে ওজন বাড়াতে পারবেন।
ওজন কম হওয়ার কারণ
অনেক কারনেই শরীরের ওজন কম হতে পারে।দেহে বিভিন্ন রোগ যেমন-অনিয়মিত
খাদ্যাভ্যাস,মানসিক চাপ,জেনেটিক কারন,ডায়েবেটিকস,পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব,এইডস,কিডনির
সমস্যা,ফুস্ফুসের সমস্যা ইত্যাদি।এছাড়াও ক্ষতিকর পদার্থ যেমন-গাঁজা,হেরোইন,আফিম
সেবনের কারনে দেহের ওজন কমে যায়।
ওজন কম হওয়ায় শারীরিক ও মানসিক দুই ভাবেই প্রভাবিত করতে পারে।ওজন কম হওয়ার সব
থেকে বড় কারন হতে পারে অনিয়মিত ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।যেমন-দেহ অপুষ্টিতে
ভুগলে,দেহে পর্যাপ্ত ক্যালরি গ্রহন না করলে শরীরের শক্তি ও পেশি স্তর কমে যায় ফলে
শরীরের ওজন কমে যায়।শরীরে হরমনাল সমস্যা থাকলে গ্রন্থির অতিরিক্ত কার্যক্রমের ফলে
শরীরের বিপাকীয় প্রকিয়াকে দূর করে । যে কারনে শরীরের ওজন কমতে থাকে।
খাদ্যে সুষম খাবার না থাকলে বা নিয়মিত খাবার গ্রহন না করলে দেহের ওজন কমতে
থাকে।মানসিক চাপে থাকলে দেহের অজন কমতে থাকে।যক্ষা,এইডস,কিডনির সমস্যা রোগে দেহের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয় ফলে দেহের ওজন কমতে থাকে।এবং নেশাজাত দ্রব্য
আমাদের দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ওজন বাড়াতে ব্যায়ামের উপকারিতা
ওজন বাড়াতে ব্যায়াম ম্যাজিকের মতো কাজ করে। আমরা অনেকেই মনে করি ওজন কমাতেই
শুধু ব্যায়াম করতে হয় কিন্তু ওজন কমাতে ও বাড়াতেও ব্যায়াম খুবই
উপকারী।ব্যায়াম আমাদের দেহের পেশি সুগঠিত করে দেহের ওজন বাড়াতে সাহায্য
করে।ব্যায়াম করলে খুদা বাড়ে ফলে আপনি বেশি বেশি খাবার খেতে পারবেন এবং
মন্দা ভাব কাটিয়ে রুচি ফিরে পাবেন।
এছাড়াও ব্যায়াম দেহের শারীরিক শক্তি বাড়াতে অনেক সাহায্য করে।আবার দেহের
মেটাবলিজম ঠিক রাখতে ব্যায়ামের উপকারিতা অপরিসীম।ব্যায়াম আমদের হজম শক্তি ঠিক
রাখতে সাহায্য করবে।তাই সুস্থ সুন্দর ও সুঠাম দেহ পেতে চাইলে ব্যায়ামের কোন
বিকল্প নেই।শক্তি ক্ষরণ ব্যায়াম দেহের হরমোন ইফেক্ট বাড়াতে সাহায্য করে দেহের
পেশি বাড়িয়ে দেয়।
ওজন বাড়াতে বিভিন্ন টিপস
ওজন বাড়ানোর জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস,নিয়মিত ব্যায়াম ও সঠিক জীবনযাপনের কিছু টিপস
লক্ষ্য বা অনুসরন করা প্রয়োজন।আপনি স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বাড়াতে চাইলে আপনাকে
কিছু টিপস মেনে চলা জরুরি।টিপসগুলো হল-ক্যালরি বেশি খান,প্রোটিন বা
কার্বোহাইড্রেটের সমন্বয় করুন,ফ্যাটযুক্ত খাবার খান,বার বার খাবার খান,প্রোটিন
শেক বা গেইনর শেক খান ইত্যাদি
এছাড়াও শক্তি প্রশিক্ষন বা ওয়েট লিফটিং করুন,হাই ক্যালরি স্ন্যাকস খান,প্রচুর
পরিমানে পানি পান করুন তবে অতিরিক্ত পরিমানে পানীয় পান করা যাবে না,বিভিন্ন
খাবারের মধ্যে বৈচিত্র্য আনুন,সময়মত বিশ্রাম ও ঘুমের প্রতি গুরুত্ব দিন,স্ট্রেস
কমান এবং ধৈর্য ধরুন।
ওজন বাড়ানোর জন্য যেমন ক্যালরি,কার্বো হাইড্রেট প্রয়োজনের তুলনায় বাড়াতে হবে
তেমনি পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও শক্তি প্রশিক্ষনও অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। এসব টিপস
অনুসরন করলেই আপনি খুব সহজেই স্বাস্থ্যকর ভাবেই ওজন বাড়াতে পারবেন।
ওজন বাড়াতে বার বার খাবার গ্রহন করুন
অনেকেই মনে করেন ওজন বাড়াতে শুধু সারাদিন খেতেই হবে বা বেশি বেশি খাবার খেলেই
মোটা হয়ে যাবো।এমন মনে করাটা সম্পূর্ণ ভুল কারন জোড় করে বেশি খাওয়ার ফলে ওজন
বাড়ানো তো দূর উল্টে আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।কারন অধিক পরিমানে অল্প সময়ে
খাবার গ্রহন করলে আপনার পরিপাকতন্ত্রে খাবার হজম হবে না ফলে বিভিন্ন রকম ক্ষতির
মুখোমুখি হতে হবে।
অল্প সময়ে অধিক খাবার গ্রহন না করে কিছুক্ষন পর পর অল্প অল্প করে খাবার গ্রহন
করলে সেই খাবার পরিপাকতন্ত্রে জমাট বেধে থাকে না,হজম হয়ে যায়।তাই আমাদের কিছুক্ষন
পর পর অল্প অল্প করে খাবার গ্রহন করা উচিত।এছাড়াও খাবারে বৈচিত্র্য রেখে খাদ্য
গ্রহন করতে হবে যেন কোনভাবেই খাবারে অরুচিবোধ না হয়।
প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কার্বোহাইড্রেট রাখুন
ওজন বাড়াতে কার্বোহাইড্রেট অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।কার্বোহাইড্রেটের প্রধান উৎস
হল ভাত যা একটি সস্তা এবং প্রতিদিনের ব্যবহার্য খাবার।ভাতে প্রচুর পরিমানে
কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।এক কাপ ভাতে প্রায় ১৮০-২০০ কার্বো হাইড্রেট সরবরাহ করে যা
আমাদের শরীরের ওজন বাড়াতে অনেক সাহায্য করবে।ডিমে রয়েছে কার্বো হাইড্রেট,প্রতিদিন
একটি করে ডিম খেলে দেহের ওজন বাড়ে।
এছাড়াও আলু,পিনাট,কলা,বাদামি চালে প্রচুর পরিমান কার্বো হাইড্রেট
রয়েছে।প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এসব খাবার খেলে দেহের ওজন বাড়বে।সামুদ্রিক মাছেও
প্রচুর পরিমান কার্বো হাইড্রেট রয়েছে যা আমাদের ওজন বৃদ্ধি ও পুষ্টি যোগাতে ভীষণ
উপকারী।
ওজন বাড়াতে ক্যালরি গ্রহন করুন
ওজন কমানোর জন্য আমরা ক্যালরিযুক্ত খাবার কম গ্রহন করি ঠিক অনুরুপভাবেই ওজন
বাড়ানোর জন্য আমরা বেশি বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহন করতে হবে।ওজন বৃদ্ধি করার
জন্য দেহের যতটুকু পরিমান ক্যালরি গ্রহন করা উচিত তার তুলনায় বেশি বেশি ক্যালরি
গ্রহন করতে হবে তবে দেহের ওজন অতি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
আপনি যদি আস্তে আস্তে আপনার দেহের ওজন বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিন আপনাকে ২৫০-৪৫০
বেশি ক্যালরি গ্রহন করতে হবে এবং আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি আপনার দেহের ওজন বাড়াতে
চান তবে আপনাকে প্রতিদিন ৫০০-৭০০ ক্যালরি বেশি গ্রহন করতে হবে।
ওজন বাড়াতে সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা
দেহকে সুস্থ সুন্দর ও সুঠাম রাখার জন্য সুষম খাদ্য যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনই দেহের
ওজন বৃদ্ধির জন্য সুষম খাদ্যের প্রয়োজন।সুষম খাদ্যে খাদ্যের ৬ টি উপাদানই
বিদ্যমান থাকে ফলে সেটি দেহের সব রকম সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।একজন স্বাভাবিক
মানুষের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সুষম খাদ্য রাখা উচিত।এছাড়াও এতে রয়েছে অধিক
পরিমান প্রোটিন যা আমাদের ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।
প্রোটিনযুক্ত খাবার ওজন বাড়ানোর জন্য একটি সহজ মাধ্যম।প্রোটিনে প্রচুর পরিমান
অ্যামিনোএসিড রয়েছে।সুষম খাদ্যে মূলত সব ধরনের উপকরন পরিমান মতো থাকে তাই সুষম
খাদ্য আমাদের দেহের পুষ্টি যুগিয়ে দেহের ওজন বৃদ্ধি করে।
শুকনো খাবার খেয়ে ওজন বৃদ্ধি
শুকনো খাবারে প্রচুর পরিমান ফ্যাট, ক্যালরি ও প্রোটিন রয়েছে যা আমাদের ওজন বাড়াতে
অনেক সাহায্য করবে।শুকনো খাবার সাধারণত অনেক ফ্যাট ও ক্যালরিযুক্ত হয়ে থাকে এবং
খাবার শুকনো হওয়ার কারনে যে কোন স্থানে বহন করা সম্ভব হয়।অধিক ক্যালরি ও
ফ্যাটযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে কাঠ বাদাম,পেস্তা বাদাম,পিনাট যা ওজন বৃদ্ধিতে
সহায়ক।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ২ টি কিসমিস ও ২ টি কাঠ বাদাম খেতে
হবে।এবং বিকালে পেস্তা বাদাম ও পিনাট খেলে দ্রুত ওজন বেড়ে যাবে।এভাবে প্রতিদিন
সকালে ও বিকালে নিয়মিত এক মাস বাদাম খেলে দেহের ওজন বেড়ে যাবে।
ওজন বাড়াতে প্রতিদিন ঘুমানোর আগে দুধ ও মধু
দুধ হচ্ছে প্রাণী থেকে প্রদত্ত একটি প্রানিজ উৎস।দুধ থেকে আমরা অ্যামিনোএসিডের সব
গুলো উপকরণই পেয়ে থাকি। এছাড়াও দুধে থাকে প্রচুর পরিমান স্নেহ পদার্থ যা আমাদের
অজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।আবার মধু হল কার্বো হাইড্রেট ও চিনির উৎস যা খেলে মাংস
পেশিতে জমা হয় সুগার রূপে এবং আমাদের ওজন বাড়ায়।
ওজন বাড়ানোর জন্য দুধ একটি খুবই কার্যকরী উপাদান।দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমানে
ক্যালরি,ক্যালসিয়াম,চর্বি ও প্রোটিন যা আমাদের পেশি সুগঠিত করে ও শক্তি সরবরাহ
করে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।এছাড়াও দুধে রয়েছে ফ্যাট এবং উচ্চ
ক্যালরি,ভিটামিন এবং খনিজ,প্রাকৃতিক শর্করা ও ল্যাকটোজ যা আমাদের ওজন বাড়াতে অনেক
সহায়ক।
ওজন বাড়াতে চিনি একটি প্রাকৃতিক কার্যকরী উপাদান হিসেবে সবার কাছে পরিচিত।মধুতে
রয়েছে উচ্চ ক্যালরি এবং প্রাকৃতিক সুগার যা আমাদের দেহে অতি তাড়াতাড়ি শক্তি
সরবরাহ করে এবং আমাদের শরীরে ক্যালরির ঘাটতি পূরণ করে আমাদের ওজন বাড়াতে সাহায্য
করে।মধুতে আছে প্রাকৃতিক শর্করা যেমন-ফ্রকটোজ এবং গ্লকোজ,ভিটামিন,মিনারেলস এবং
অ্যানটিঅক্সিডেন্ট যা শরিরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে দেহের ওজন বাড়াবে।
ঘুমোতে যাওয়ার আগে এমন কিছু খাবার গ্রহন করুন যেটা অনেক ক্যালরি যুক্ত কারন আপনি
ঘুমিয়ে গেলে সেই ক্যালরি খরচ হবে না বরং আপনার দেহে কাজ করবে।তাই প্রতিদিন রাতে
ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধ ও ২ টেবিল চামচ মধু খেয়ে নিন।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় চকলেট ও চিজ রাখুন
আমরা সাধারনত জানি বাইরের খাবার খাওয়া আমাদের সাস্থের পক্ষে মোটেও ঠিক না কিন্তু
ওজন বাড়ানোর জন্য বাইরের খাবার যেমন-বারগার,চিজ,পটেটো অনেক কার্যকরী।বাইরের
খাবারে প্রচুর পরিমানে ফ্যাট রয়েছে যা আমাদের দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।ওজন
বাড়াতে ফ্যাট ও স্নেহ জাতীয় খাবার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখুন।
দেহের ওজন বাড়াতে পানি ও অনেক কার্যকরী উপাদান।তাই এসব খাবার গ্রহন করার পাশাপাশি
প্রচুর পরিমান পানি গ্রহন করতে হবে।এছাড়াও মানসিক চাপ কমিয়ে পর্যাপ্ত সময় ঘুমাতে
হবে।তবেই রোগা থেকে মোটা হওয়া যাবে।
লেখকের মন্তব্য
রোগা থেকে মোটা হওয়া অনেকটাই কঠিন বিষয় তবে অসম্ভব কিছু নয়।আমার এই লেখার মূল
উদ্দেশ্য হল যারা রোগা থেকে মোটা হতে চান তাদের জন্য সঠিক ও স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি
বা টিপস প্রদান করা।আশা করছি এই কন্টেন্টটি আপনার অনেক কাজে আসবে এবং এই
কন্টেন্টটির মাধ্যমে অনেক উপকৃত হবেন।
বিডি টিপস কর্নারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url