ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়-এপ্রুভ করানোর কয়েকটি কার্যকরী উপায় জানুন
BD Tips Corner
9 Mar, 2025
ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়? এই সম্পর্কে অনেকেই
জানতে চান।ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট অনুমোদন বা এপ্রুভালের প্রয়োজন
হয়, যেগুলো বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এবং আয়ের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। ব্লগিং
শুরু করার পর, আয়ের জন্য কিছু প্রাথমিক শর্ত পূরণ করতে হয়, যেমন গুগল অ্যাডসেন্স,
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা স্পন্সরড কন্টেন্টের ক্ষেত্রে এপ্রুভাল পাওয়া অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে ব্লগ থেকে আয় করার জন্য, ব্লগের কিছু শর্ত পূর্ণ করতে
হয়, যেমন ওয়েবসাইটের কন্টেন্টের গুণগত মান, নিয়মিত আপডেট করা কন্টেন্ট, এবং
ব্লগের নীতি মেনে চলা। এছাড়া, যদি আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে
চান, তাহলে বিভিন্ন এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করতে হয়, যেগুলোর জন্য সেগুলোর
শর্ত মেনে চলা এবং কিছু ক্ষেত্রে অনুমোদন পাওয়া প্রয়োজন।
পোস্ট সূচীপত্র: ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়?
ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়?
ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়? যা ব্লগের বিষয়বস্তু এবং
আয় করার পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। সবচেয়ে প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ অনুমোদন হলো
গুগল অ্যাডসেন্স। গুগল
অ্যাডসেন্স হল একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি যার মাধ্যমে ব্লগের ভিজিটরদের জন্য বিজ্ঞাপন
প্রদর্শন করা হয় এবং সেগুলির মাধ্যমে আয় করা যায়। তবে অ্যাডসেন্সে অনুমোদন পাওয়ার
জন্য ব্লগটির কন্টেন্ট মানসম্মত হতে হবে এবং ব্লগের ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণ
কন্টেন্ট থাকতে হবে। সাধারণত, ২০-৩০টি ভালো মানের পোস্ট থাকতে হয়, এবং ব্লগটি
সঠিকভাবে নিয়মিত আপডেট করা থাকতে হবে।
এছাড়া,
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি
আরেকটি জনপ্রিয় উপায়, যার মাধ্যমে ব্লগাররা বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের
প্রোমোশন করে কমিশন লাভ করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দেওয়ার জন্য
ব্লগের নীতি এবং শর্তাবলীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কন্টেন্ট থাকতে হয়। এছাড়া,
বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্ল্যাটফর্ম যেমন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট, শপিফাই অ্যাফিলিয়েট
বা অন্য যেকোনো প্ল্যাটফর্মে অ্যাপ্লাই করার সময় তাদের নির্দিষ্ট শর্তপূরণ করতে
হয়, যার মধ্যে প্রাথমিকভাবে ব্লগের ট্র্যাফিক এবং কন্টেন্টের গুণগত মান প্রভাব
ফেলে।
স্পন্সরড কন্টেন্ট বা
বিজ্ঞাপন গ্রহণ করাও ব্লগ থেকে আয় করার একটি উপায়, যেখানে কোনো ব্র্যান্ড বা
কোম্পানি তাদের পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য ব্লগারদের সাথে চুক্তি করে। এই
ক্ষেত্রে, ব্লগারদের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও শর্তসমূহ হলো ব্লগটির জনপ্রিয়তা,
নিয়মিত ভিজিটর সংখ্যা, এবং তার কন্টেন্টের ব্যাপ্তি। স্পন্সরড পোস্টের জন্য
ব্লগারদের কখনও কখনও সরাসরি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হয়, বা কোনো
প্রতিষ্ঠানের মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে চুক্তি সম্পাদিত হয়।
এইসব অনুমোদন বা এপ্রুভাল পাওয়ার জন্য ব্লগারদের ধৈর্য, সময়, এবং সতর্কভাবে
ব্লগের মান উন্নত করার উপর মনোযোগ দিতে হয়।
গুগল অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল
গুগল অ্যাডসেন্স একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে ব্লগাররা তাদের
ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আয় করতে পারেন। তবে, গুগল অ্যাডসেন্সে অনুমোদন
পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথমত, ব্লগটির কন্টেন্ট অবশ্যই
উচ্চমানের এবং ইউজারদের উপযোগী হতে হবে। সাধারণত, ব্লগে ২০-৩০টি মৌলিক এবং
বিস্তারিত পোস্ট থাকতে হবে, যাতে গুগল বুঝতে পারে ব্লগটি নিয়মিত এবং মূল্যবান
কন্টেন্ট প্রদান করছে। এছাড়া, ব্লগের নীতিমালা এবং গুগলের নির্দেশিকা মেনে চলাও
গুরুত্বপূর্ণ, যেমন কপিরাইট বিষয়ক আইন, অশ্লীল বা অবৈধ কন্টেন্ট পরিহার করা
ইত্যাদি।
অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্লাই করার আগে, ব্লগের ডিজাইনও গুরুত্বপূর্ণ। ব্লগটি যেন
ব্যবহারকারীদের জন্য সহজে নেভিগেট করা যায়, তেমন একটি পরিষ্কার এবং
ব্যবহার-বান্ধব ডিজাইন থাকতে হবে। ব্লগের পৃষ্ঠাগুলি যেন দ্রুত লোড হয় এবং মোবাইল
রেসপন্সিভ হয়, এই বিষয়গুলোও গুগল মূল্যায়ন করে। অ্যাডসেন্সে আবেদন করার পর, গুগল
ব্লগটি পর্যালোচনা করে এবং এটি যদি তাদের শর্ত পূরণ করে তবে অনুমোদন দেয়।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, গুগল অ্যাডসেন্সে অনুমোদন পাওয়ার জন্য ব্লগের
ট্র্যাফিকের পরিমাণ কম-বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেও, ব্লগের মান এবং কন্টেন্টের গুণগত
মান সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। এছাড়া, গুগল সাধারণত আবেদনকারীদের কাছে অপেক্ষা
করতে বলে এবং যদি ব্লগটি তাদের মানদণ্ড পূর্ণ করে, তবে তারা বিজ্ঞাপন প্রকাশের
অনুমতি দেয়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামের অনুমোদন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি যার মাধ্যমে ব্লগাররা বিভিন্ন পণ্য
বা সেবার প্রমোশন করে কমিশন অর্জন করতে পারেন। এই প্রোগ্রামগুলিতে অংশগ্রহণ করার
জন্য প্রথমে একটি অনুমোদন বা এপ্রুভাল প্রক্রিয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট
প্রোগ্রামে যোগদান করার জন্য ব্লগারদের কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূর্ণ করতে হয়, যেমন
ব্লগের কন্টেন্টের গুণগত মান, নিয়মিত আপডেট, এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ
ট্র্যাফিকের উপস্থিতি। সাধারণত, অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য ব্লগের
পাঠকসংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, কন্টেন্টের মান এবং অর্গানিক ট্র্যাফিকের উপর বেশি
গুরুত্ব দেওয়া হয়।
যেকোনো অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে অনুমোদন পাওয়ার জন্য, ব্লগটির মূল কন্টেন্ট এবং
প্রাসঙ্গিকতা একটি বড় ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন ব্লগার প্রযুক্তি
বিষয়ক পণ্য নিয়ে লেখেন, তাহলে তাদের পণ্য বা সেবার সঙ্গে সম্পর্কিত অ্যাফিলিয়েট
প্রোগ্রামে আবেদন করা বেশি কার্যকর। এই ক্ষেত্রে, ব্লগের কন্টেন্টটি যেন সেই
পণ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের অনুমোদন প্রক্রিয়া কিছু ক্ষেত্রে কঠিন হতে পারে। অনেক
প্ল্যাটফর্ম, যেমন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট, ব্লগে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা এবং
প্রোফেশনাল কন্টেন্টের মান দেখে অ্যাপ্লিকেশন অ্যাপ্রুভ বা ডিনাই করতে পারে। কিছু
প্রোগ্রামে ব্লগের ট্র্যাফিকের পরিমাণও বিবেচনাযোগ্য, যদিও অর্গানিক ট্র্যাফিক,
অর্থাৎ অনুসন্ধান ইঞ্জিন থেকে আসা ভিজিটরদের সংখ্যা, খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু
প্রোগ্রামে অনুমোদন পাওয়ার পর, ব্লগাররা তাদের অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করতে
পারেন এবং যখন পাঠক সেই লিংক থেকে পণ্য কিনবে, তখন ব্লগার কমিশন পাবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি লাভজনক পদ্ধতি হতে পারে, তবে এটি সফলভাবে চালানোর
জন্য ব্লগের দর্শকদের জন্য সত্যিকার এবং মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
স্পন্সরড কন্টেন্টের অনুমোদন
স্পন্সরড কন্টেন্ট হচ্ছে একটি ব্লগের মাধ্যমে একটি ব্র্যান্ড বা কোম্পানি তাদের
পণ্য বা সেবা প্রচার করার জন্য অর্থ প্রদান করে। এই ধরনের কন্টেন্ট ব্লগারদের
জন্য একটি লাভজনক উপায়, তবে স্পন্সরড কন্টেন্টের অনুমোদন পাওয়া সহজ নয় এবং এর
জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। স্পন্সরশিপ প্রাপ্তির জন্য প্রথমত
ব্লগটির জনপ্রিয়তা এবং পঠিত হওয়া জরুরি। একটি ব্লগ যদি খুব কম পাঠক বা ট্র্যাফিক
নিয়ে চলতে থাকে, তবে স্পন্সরশিপ প্রাপ্তি কঠিন হতে পারে। তবে, যদি ব্লগটি বড় এবং
নিয়মিত ভিজিটরের সাথে জনপ্রিয় হয়, তাহলে ব্র্যান্ডগুলোর নজর আকর্ষণ করা সহজ হয়।
স্পন্সরড কন্টেন্টের অনুমোদন প্রাপ্তির জন্য ব্লগের কন্টেন্টের গুণগত মান অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। ব্লগের কন্টেন্ট যতটা সম্ভব প্রাসঙ্গিক, আকর্ষণীয় এবং পঠনযোগ্য হতে
হবে, কারণ স্পন্সররা তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য ভালো মানের কন্টেন্ট চায় যা
তাদের ব্র্যান্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। ব্লগের থিমও স্পন্সরদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ,
যেমন একটি ফ্যাশন ব্লগের জন্য ফ্যাশন সম্পর্কিত স্পন্সরশিপ বেশি কার্যকর, এবং
একটি প্রযুক্তি ব্লগের জন্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত ব্র্যান্ড উপযুক্ত হবে।
স্পন্সরশিপের জন্য অনুমোদন পাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ব্লগের স্বচ্ছতা ও
বিশ্বাসযোগ্যতা। ব্লগারদের অবশ্যই স্পন্সরড কন্টেন্ট সম্পর্কে তাদের পাঠকদের কাছে
সতর্ক এবং স্বচ্ছ থাকতে হবে, যাতে পাঠকরা বুঝতে পারে যে এটি একটি বিজ্ঞাপন বা
স্পন্সরড পোস্ট। অনেক স্পন্সর তাদের কন্টেন্টের মাধ্যমে শুধুমাত্র বিক্রি বৃদ্ধি
করতে চায়, তবে তারা তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে সরাসরি পজিটিভ ধারণা দেওয়ার জন্য
ব্লগারদের কাছ থেকে বিশুদ্ধ ও নিরপেক্ষ রিভিউ চায়।
স্পন্সরশিপ পেতে হলে ব্লগারদের প্রায়শই স্পন্সরের সাথে যোগাযোগ করতে হয় অথবা
মিডিয়া কিট তৈরি করতে হয়, যেখানে ব্লগের পাঠক সংখ্যা, জনপ্রিয়তা, ট্র্যাফিক উৎস,
এবং আগের সফল ক্যাম্পেইনের বিস্তারিত তথ্য থাকে। একটি স্পন্সরশিপ চুক্তি সাইন
করার পর, ব্লগাররা তাদের ব্লগে স্পন্সরড কন্টেন্ট প্রকাশ করতে পারেন এবং এইভাবে
আয় করতে পারেন।
গুগল অ্যানালিটিক্স সেটআপ ও এপ্রুভাল
ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়?গুগল অ্যানালিটিক্স একটি
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টুল যা ব্লগের বা ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক এবং ব্যবহারকারীদের
আচরণ পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে। গুগল অ্যানালিটিক্স সেটআপ করার মাধ্যমে
ব্লগাররা তাদের সাইটের ভিজিটর সংখ্যা, পেজ ভিউ, ইউজারের ইন্টারঅ্যাকশন, এবং
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মেট্রিকস ট্র্যাক করতে পারেন, যা ব্লগের উন্নতি এবং আয়ের
জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গুগল অ্যানালিটিক্স সেটআপ করার জন্য প্রথমে গুগল
অ্যানালিটিক্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয় এবং ব্লগের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হয়। এরপর,
ব্লগের HTML কোডে গুগল অ্যানালিটিক্সের ট্র্যাকিং কোড ইনস্টল করতে হয়, যাতে
সিস্টেম ট্র্যাফিক সংগ্রহ করতে পারে।
গুগল অ্যানালিটিক্সের অনুমোদন বা এপ্রুভাল পাওয়া অবশ্যই কিছু শর্ত পূরণ করে।
সাধারণত, গুগল অ্যাডসেন্স বা অন্যান্য গুগল প্ল্যাটফর্মের সাথে কাজ করার জন্য,
গুগল অ্যানালিটিক্সে একটি অ্যাকাউন্ট থাকা প্রয়োজন। গুগল এপ্রুভাল পাওয়ার জন্য
ব্লগটির অবশ্যই ভালো মানের কন্টেন্ট থাকতে হবে এবং নিয়মিত ট্র্যাফিক অর্জন করতে
হবে। গুগল অ্যানালিটিক্সের মাধ্যমে ব্লগের বিভিন্ন পরিসংখ্যান যেমন, কোন কন্টেন্ট
বেশি জনপ্রিয়, কোন ট্র্যাফিক সোর্স থেকে বেশি ভিজিটর আসছে, ইত্যাদি জানা যায়, যা
ব্লগারের জন্য অত্যন্ত সহায়ক।
এই তথ্যগুলো ব্লগারদের তাদের কন্টেন্ট এবং মার্কেটিং কৌশল আরও উন্নত করতে সাহায্য
করে। গুগল অ্যানালিটিক্সের সঠিকভাবে ব্যবহার করা ব্লগের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ব্লগের ভিজিটরদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে সাহায্য করে, যা
পরোক্ষভাবে আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সহায়ক। এটি ব্লগারদের গুগলের বিভিন্ন এড
সার্ভিস যেমন গুগল অ্যাডসেন্স, অ্যাডওয়ার্ডস, ইত্যাদির সঙ্গে সহজে সমন্বয় করতে
সক্ষম করে।
SEO পদ্ধতি অনুসরণ ও অর্গানিক ট্র্যাফিক নিশ্চিতকরণ
SEO (Search Engine Optimization) বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ব্লগ থেকে আয় করার
একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এটি ব্লগের দৃশ্যমানতা এবং র্যাংকিং উন্নত করতে
সাহায্য করে, ফলে অর্গানিক ট্র্যাফিক বৃদ্ধি পায়। SEO পদ্ধতি অনুসরণ করে ব্লগটি
সার্চ ইঞ্জিনে ভাল র্যাংক পেতে পারে এবং আরও বেশি ভিজিটর আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।
এর মাধ্যমে ব্লগাররা এমন কৌশলগুলো অনুসরণ করেন যা তাদের ব্লগের কন্টেন্টকে সার্চ
ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজড করে, যেমন সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার, ইমেজ অপটিমাইজেশন, এবং
উচ্চমানের কন্টেন্ট তৈরি করা।
সঠিক কীওয়ার্ড রিসার্চ হল SEO এর একটি প্রধান অংশ। ব্লগের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং
উচ্চ ট্র্যাফিক পেতে সক্ষম কীওয়ার্ড নির্বাচন করতে হয়। এই কীওয়ার্ডগুলো ব্লগের
টাইটেল, মেটা ডেসক্রিপশন, হেডার এবং কন্টেন্টে সঠিকভাবে ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া,
কন্টেন্টটি যেন মানসম্মত এবং পাঠকদের জন্য তথ্যপূর্ণ হয়, সে দিকেও নজর দিতে হবে।
গুণগত কন্টেন্টের মাধ্যমে পাঠকরা ব্লগে ফিরে আসবেন এবং সোশ্যাল শেয়ার বা
ব্যাকলিঙ্কের মাধ্যমে ব্লগের র্যাংকিংও বাড়বে।
অর্গানিক ট্র্যাফিক নিশ্চিত করতে আরও কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। যেমন,
ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বাড়ানো, মোবাইল রেসপন্সিভ ডিজাইন তৈরি করা এবং সাইটের
ইউজার এক্সপেরিয়েন্স উন্নত করা। এছাড়া, নিয়মিত নতুন কন্টেন্ট আপলোড করা এবং পুরনো
পোস্টগুলো আপডেট করা ব্লগের SEO র্যাংকিং বাড়াতে সাহায্য করে। আরেকটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ব্যাকলিঙ্ক। অন্যান্য উচ্চমানের সাইট থেকে আপনার ব্লগে
লিঙ্ক আসলে, এটি আপনার ব্লগের অথোরিটি এবং র্যাংকিং উভয়ই বাড়ায়।
এইসব SEO কৌশলগুলি অনুসরণ করলে ব্লগের অর্গানিক ট্র্যাফিক নিশ্চিত করা সম্ভব, যা
ব্লগারদের আয় করার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে এবং তাদের ব্লগকে দীর্ঘমেয়াদী সফলতার দিকে
এগিয়ে নিয়ে যায়।
পেইড স্পন্সরশিপের জন্য কোম্পানি বা এজেন্সির অনুমোদন
পেইড স্পন্সরশিপ ব্লগ থেকে আয় করার একটি লাভজনক উপায়, যেখানে একটি কোম্পানি বা
এজেন্সি তাদের পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্য ব্লগারদের সঙ্গে চুক্তি করে। এই ধরনের
স্পন্সরশিপের জন্য, ব্লগারদের সাধারণত কিছু অনুমোদন বা এপ্রুভাল প্রক্রিয়ার মধ্য
দিয়ে যেতে হয়, যাতে তারা স্পন্সরদের থেকে অর্থ প্রদান পেতে পারেন। প্রথমত, ব্লগটি
যথেষ্ট জনপ্রিয় এবং নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, কারণ কোম্পানিগুলি
সাধারণত তাদের পণ্যের জন্য নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্যমাত্রা পাঠকসংখ্যা বা নীচে
সম্প্রচারিত ব্লগ খুঁজে থাকে।
কোম্পানি বা এজেন্সি স্পন্সরশিপের অনুমোদন দিতে আগে ব্লগের মূল বিষয়বস্তু এবং
কন্টেন্টের মান যাচাই করে। তাদের লক্ষ্য থাকে এমন ব্লগের সাথে কাজ করা, যেগুলি
তাদের পণ্যের সাথে সম্পর্কিত এবং যেখানে পাঠকরা সেগুলির প্রতি আগ্রহী হতে পারে।
ব্লগের ট্র্যাফিক, পাঠকদের প্রতিক্রিয়া এবং সাইটের আঙ্গিক বা ডিজাইনও এ ক্ষেত্রে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অধিকাংশ স্পন্সররা ব্লগের উপর নজর দেয় এবং দেখতে
চায়, এটি কি যথাযথভাবে তাদের ব্র্যান্ডের সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারে কিনা।
স্পন্সরশিপের জন্য অনুমোদন পাওয়ার আগে ব্লগারদের নিজেদের ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়ায়
তাদের কার্যক্রম উপস্থাপন করা প্রয়োজন, যেমন মিডিয়া কিট তৈরি করা বা আগের সফল
স্পন্সরশিপ প্রচারণা শেয়ার করা। ব্লগারের অডিয়েন্স, ইনগেজমেন্ট রেট এবং কনভার্শন
রেটও এই অনুমোদন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। একবার অনুমোদন পাওয়ার পর,
ব্লগাররা স্পন্সরড কন্টেন্ট তৈরি করেন যা তাদের নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের প্রচার এবং
বিক্রয় বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়।
পেইড স্পন্সরশিপের মাধ্যমে ব্লগাররা তাদের কন্টেন্ট তৈরি করতে আরও উৎসাহিত হন,
তবে এটি অবশ্যই পাঠকদের জন্য উপকারী, তথ্যপূর্ণ এবং মূল্যবান হওয়া উচিত, যাতে
স্পন্সররা তাদের ব্র্যান্ডের জন্য সঠিকভাবে বিপণন করতে পারেন এবং ব্লগাররা
সঠিকভাবে আয় করতে পারেন।
কনটেন্ট শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে পাবলিশার হিসেবে এপ্রুভাল
কনটেন্ট শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে পাবলিশার হিসেবে অনুমোদন (এপ্রুভাল) পাওয়ার
প্রক্রিয়া ব্লগারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা তাদের কন্টেন্টের সুষ্ঠু
প্রচার এবং আয় অর্জনে সহায়তা করে। কনটেন্ট শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম যেমন মিডিয়াম,
সোশ্যাল মিডিয়া, বা ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলো ব্লগারদেরকে তাদের লেখা বা
অন্যান্য কন্টেন্ট প্রকাশের সুযোগ দেয়, এবং এসব প্ল্যাটফর্মে অনুমোদন পাওয়ার জন্য
কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথমত, ব্লগ বা কন্টেন্টের মানসম্মত হওয়া খুব
গুরুত্বপূর্ণ। কনটেন্টটি পাঠকদের জন্য তথ্যপূর্ণ, আকর্ষণীয় এবং মূল বিষয়বস্তুর
সাথে সম্পর্কিত হতে হবে।
বিভিন্ন কনটেন্ট শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, যেমন মিডিয়াম, ব্লগারের পক্ষে তাদের লেখা
বা পোস্টগুলি পাবলিশ করার জন্য অনুমোদন প্রক্রিয়া শুরু করে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে
ব্লগারদের অ্যাকাউন্ট যাচাইয়ের জন্য কিছু শর্ত পূর্ণ করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ,
মিডিয়ামে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর, ব্লগারের লেখাগুলি বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে
হয়, যেমন নকল বা কপিরাইট লঙ্ঘন না করা এবং পাঠকদের জন্য মানসম্পন্ন কন্টেন্ট
প্রদান করা। এসব প্ল্যাটফর্মগুলি সাধারণত ব্লগারদের কাছে প্রথমে আবেদন নিয়ে তাদের
কন্টেন্ট এবং লেখার ধারার গুণগত মান পর্যালোচনা করে এবং তারপর অনুমোদন দেয়।
এছাড়া, কনটেন্ট শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে পাবলিশার হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার জন্য
ব্লগারদের প্রায়ই তাদের কনটেন্টের বিষয়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত হতে হয়, অর্থাৎ
নির্দিষ্ট ধরনের কন্টেন্ট যেমন টেকনোলজি, ফ্যাশন বা লাইফস্টাইল বিষয়ে কনটেন্ট
শেয়ার করার মাধ্যমে আরও সফল হতে পারেন। প্ল্যাটফর্মগুলোর নিয়ম এবং গাইডলাইন মেনে
চলা, যেমন নীতিমালা অনুসরণ এবং মৌলিক কন্টেন্ট তৈরি করা, অনুমোদন প্রাপ্তির জন্য
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একবার অনুমোদন পেলে, ব্লগাররা কনটেন্ট শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে তাদের লেখা বা
পোস্টগুলো প্রচার করতে পারেন এবং সেই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আয় করার সুযোগ পান,
বিশেষ করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা ব্যবহার করে।
পেইড সাবস্ক্রিপশন মডেল বা মেম্বারশিপ অনুমোদন
পেইড সাবস্ক্রিপশন মডেল বা মেম্বারশিপ ব্লগ থেকে আয় করার একটি জনপ্রিয় এবং লাভজনক
উপায়। এই মডেলটি ব্লগারদেরকে একটি নির্দিষ্ট পাঠক বা সদস্য সম্প্রদায় তৈরি করতে
সহায়তা করে, যারা তাদের কন্টেন্ট বা পরিষেবার জন্য নিয়মিত অর্থ প্রদান করেন।
ব্লগে পেইড সাবস্ক্রিপশন মডেল বা মেম্বারশিপ চালু করতে, প্রথমে ব্লগারের উচিত
প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করা, যেমন প্যাট্রিয়ন, সাবস্ক্রাইব, বা নিজের ওয়েবসাইটে
সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম তৈরি করা।
এই মডেলটির জন্য অনুমোদন প্রক্রিয়া বেশ কড়া হতে পারে, কারণ এটি ব্লগের জন্য একটি
স্থিতিশীল আয়ের উৎস এবং দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে। পেইড
সাবস্ক্রিপশন চালু করার জন্য ব্লগের কন্টেন্ট অবশ্যই যথেষ্ট মানসম্মত,
সুনির্দিষ্ট এবং পাঠকদের জন্য মূল্যবান হতে হবে। সদস্যরা তাদের সাবস্ক্রিপশনের
বিনিময়ে বিশেষ কন্টেন্ট, এক্সক্লুসিভ সুবিধা বা পণ্য পেতে চান। এই কন্টেন্ট
সাধারণত ব্লগের সাধারণ পোস্টের তুলনায় আরও গভীর, বিস্তারিত এবং বিশেষভাবে প্রণীত
হতে পারে।
মেম্বারশিপ অনুমোদন পাওয়ার জন্য ব্লগটির যথেষ্ট পরিমাণ নিয়মিত দর্শক বা সদস্য
থাকতে হবে। এছাড়া, ব্লগের জন্য একটি সুস্পষ্ট মেম্বারশিপ অফার তৈরি করা
গুরুত্বপূর্ণ, যাতে পাঠকরা সহজেই বুঝতে পারেন তারা সাবস্ক্রাইব করলে কী সুবিধা
পেতে যাচ্ছেন। সদস্যদের জন্য এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট, লাইভ সেশন, বিশেষ গাইডলাইন বা
ডিসকাউন্ট প্রদান করা একাধিক উপকারী পন্থা হতে পারে।
এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ যে, ব্লগারদেরকে মেম্বারশিপ মডেলের সাথে সম্পর্কিত নিয়ম এবং
শর্তাবলী স্পষ্টভাবে পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে সাবস্ক্রাইবারদের
মধ্যে কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়। একবার অনুমোদন পেলে এবং একটি কার্যকর
মেম্বারশিপ মডেল প্রতিষ্ঠিত হলে, ব্লগাররা নিয়মিত আয়ের উৎস পেতে পারেন যা তাদের
ব্লগের পরবর্তী পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
FAQ/সাধারণ প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: ব্লগ থেকে আয় করার
জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়?
উত্তর: ব্লগে গুগল
অ্যাডসেন্স চালু করতে এপ্রুভাল প্রয়োজন।
প্রশ্ন: ব্লগে এফিলিয়েট
মার্কেটিং শুরু করতে কি অনুমতি প্রয়োজন?
উত্তর: সাধারণত কোনো
অনুমতির প্রয়োজন হয় না, তবে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করতে আবেদন করতে
হয়।
প্রশ্ন: ব্লগে পণ্য বিক্রির
জন্য কি প্ল্যাটফর্মের অনুমতি লাগে?
উত্তর: হ্যাঁ, আপনি যদি
Shopify বা অন্য কোনো ইকমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন, অনুমতি প্রয়োজন।
প্রশ্ন: ব্লগে বিজ্ঞাপন শুরু
করার জন্য কি কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়?
উত্তর: গুগল অ্যাডসেন্স বা
অন্য প্ল্যাটফর্মের জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়, যেমন কনটেন্ট এবং ট্রাফিক।
প্রশ্ন: ব্লগে ইউটিউব
চ্যানেল লিঙ্ক করলে কি অনুমতি প্রয়োজন?
উত্তর: ব্লগে ইউটিউব
চ্যানেল লিঙ্ক করার জন্য কোনো বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন নেই, তবে অ্যাডসেন্স
দরকার হতে পারে।
প্রশ্ন: ব্লগে গেস্ট পোস্ট
করতে কি অনুমতি লাগে?
উত্তর: গেস্ট পোস্ট করার
জন্য কোনো অনুমতি লাগে না, তবে ব্লগের মালিকের সম্মতি প্রয়োজন।
প্রশ্ন: ব্লগে পেইড
প্রোডাক্ট রিভিউ প্রকাশ করতে কি এপ্রুভাল প্রয়োজন?
উত্তর: হ্যাঁ, পেইড
রিভিউ শেয়ার করতে কিছু প্ল্যাটফর্মের এপ্রুভাল দরকার হতে পারে।
প্রশ্ন: ব্লগ থেকে আয় করতে
কি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এপ্রুভাল প্রয়োজন?
উত্তর: হ্যাঁ, আয়
স্থানান্তর করার জন্য বৈধ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন: ব্লগে কনটেন্ট
রাইটিংয়ের জন্য কি অনুমতি লাগে?
উত্তর: কনটেন্ট
রাইটিংয়ের জন্য সাধারণত অনুমতি প্রয়োজন হয় না, তবে কিছু প্ল্যাটফর্মের নিয়ম
অনুসরণ করতে হয়।
প্রশ্ন: ব্লগে সোসিয়াল
মিডিয়া শেয়ারিংয়ের জন্য কি অনুমতি লাগে?
উত্তর: সোসিয়াল মিডিয়াতে
শেয়ার করার জন্য সাধারণত অনুমতির প্রয়োজন হয় না, তবে কিছু প্ল্যাটফর্মে
বিধি-নিষেধ থাকতে পারে।
লেখকের মন্তব্য:ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়?
ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়? যা আপনার আয় শুরু করার পথে
বাধা সৃষ্টি করতে পারে। প্রথমত, গুগল অ্যাডসেন্সের এপ্রুভাল হল সবচেয়ে সাধারণ এবং
গুরুত্বপূর্ণ, যা আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার অনুমতি দেয়। এছাড়া, পণ্য
বিক্রি বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের এপ্রুভাল প্রয়োজন
হয়, যেমন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট বা অন্য কোনো ইকমার্স প্ল্যাটফর্ম। আরও, পেইড
কনটেন্ট বা গেস্ট পোস্ট করার সময় ব্লগের মালিকের অনুমতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সবশেষে, আয় স্থানান্তরের জন্য বৈধ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের
এপ্রুভাল দরকার, যা আয় প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু এবং নিরাপদ রাখে।
প্রিয় পাঠক, আশা করি এই কনটেন্টটি আপনার ভালো লাগবে ও এই কনটেন্টি
পরে আপনি উপকৃত হবেন। যদি এ কনটেন্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হন তবে এটি আপনার
আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের কাছে শেয়ার করতে পারেন ।যাতে তারা এই
কনটেন্টটি পড়ে উপকৃত হতে পারে।
বিডি টিপস কর্নারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url