ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী-ট্রেনের ভাড়া 2025 সম্পর্কে জানুন

ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী বাংলাদেশে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় যাত্রাপথ। দুই শহরের মধ্যে সড়কপথের পাশাপাশি রেলপথের মাধ্যমে যাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক, নিরাপদ এবং আরামদায়ক ভ্রমণ সুবিধা প্রদান করা হয়। ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মধ্যে বিভিন্ন আন্তঃনগর এবং মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে, যা প্রতিদিন হাজারো যাত্রীকে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে।

ঢাকা-টু-চট্টগ্রাম-ট্রেনের-সময়সূচী

প্রতিদিন বিভিন্ন ট্রেনের সময়সূচি অনুযায়ী যাত্রীরা তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা সাজাতে পারেন, যাতে তারা সময়মত এবং আরামদায়কভাবে পৌঁছাতে পারেন। ট্রেনের মাধ্যমে যাত্রা করলে শুধু আরামদায়ক অভিজ্ঞতা লাভ করা যায় না, সাথে পরিবেশবান্ধব উপায়ে ভ্রমণও করা সম্ভব। তবে, ট্রেনের সময়সূচি জানার মাধ্যমে যাত্রীরা আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে পারে, যাতে তাদের ভ্রমণ আরও সহজ এবং অনিশ্চয়তা মুক্ত হয়।

পোস্ট সূচীপত্র:ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী

ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী

ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী রেলপথে প্রতিদিন বিভিন্ন আন্তঃনগর এবং মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। এই ট্রেনগুলো যাত্রীদের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক এবং সুবিধাজনক ভ্রমণের ব্যবস্থা করে। প্রধান ট্রেনগুলোর মধ্যে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা এক্সপ্রেস এবং মহানগর এক্সপ্রেস উল্লেখযোগ্য। এগুলোর সময়সূচি বিভিন্নভাবে থাকে, তবে সাধারণত সকালে, বিকেলে এবং রাতে ট্রেনগুলো ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে চলে। ট্রেনের সময়সূচি অনুযায়ী যাত্রীরা তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করতে পারেন, তবে ভ্রমণের আগে সর্বশেষ সময়সূচি যাচাই করা উচিত, কারণ সময়সূচিতে পরিবর্তন হতে পারে।

ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে রেল যোগাযোগ বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন মাধ্যম। প্রতিদিন বিভিন্ন আন্তঃনগর ও মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন এই রুটে চলাচল করে, যা যাত্রীদের দ্রুত ও আরামদায়ক ভ্রমণের সুযোগ প্রদান করে। নিচে উল্লেখিত ট্রেনগুলোর সময়সূচি ও অন্যান্য বিবরণ দেওয়া হলো:

আন্তঃনগর ট্রেনসমূহ:

  1. সুবর্ণ এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭০২):

  • ছাড়ার সময়: সোমবার বাদে প্রতিদিন বিকেল ৪:৩০ টা
  • পৌঁছানোর সময়: রাত ৯:২৫ টা
  • বিরতি দিন: সোমবার
  1. মহানগর প্রভাতী (ট্রেন নং ৭০৪):

  • ছাড়ার সময়: প্রতিদিন সকাল ৭:৪৫ টা
  • পৌঁছানোর সময়: দুপুর ২:০০ টা
  • বিরতি দিন: কোনো বিরতি দিন নেই
  1. মহানগর এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭২২):

  • ছাড়ার সময়: রবিবার বাদে প্রতিদিন রাত ৯:২০ টা
  • পৌঁছানোর সময়: সকাল ৪:৫০ টা
  • বিরতি দিন: রবিবার
  1. তূর্ণা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৪২):

  • ছাড়ার সময়: প্রতিদিন রাত ১১:৩০ টা
  • পৌঁছানোর সময়: সকাল ৬:২০ টা
  • বিরতি দিন: কোনো বিরতি দিন নেই
  1. সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৮৮):

  • ছাড়ার সময়: বুধবার সকাল ৭:০০ টা
  • পৌঁছানোর সময়: দুপুর ১২:১৫ টা
  • বিরতি দিন: বুধবার

মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনসমূহ:

  1. চট্টগ্রাম মেইল (ট্রেন নং ০২):

  • ছাড়ার সময়: প্রতিদিন রাত ১০:৩০ টা
  • পৌঁছানোর সময়: সকাল ৭:২৫ টা
  • বিরতি দিন: কোনো বিরতি দিন নেই
  1. কর্ণফুলী এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ০৪):

  • ছাড়ার সময়: প্রতিদিন সকাল ৮:৪৫ টা
  • পৌঁছানোর সময়: সন্ধ্যা ৬:১৫ টা
  • বিরতি দিন: কোনো বিরতি দিন নেই
  1. চট্টলা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৬৪):

  • ছাড়ার সময়: মঙ্গলবার দুপুর ১:০০ টা
  • পৌঁছানোর সময়: রাত ৮:৩০ টা
  • বিরতি দিন: মঙ্গলবার

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের জনপ্রিয় ট্রেনসমূহ

ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী রেলপথে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ট্রেন চলাচল করে, যা যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক ও সুবিধাজনক ভ্রমণ নিশ্চিত করে। এর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত ট্রেনগুলোর মধ্যে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা এক্সপ্রেস এবং মহানগর এক্সপ্রেস অন্যতম।

সুবর্ণ এক্সপ্রেস একটি জনপ্রিয় আন্তঃনগর ট্রেন, যা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত দ্রুত এবং আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করে। এই ট্রেনটি সাধারণত বিকেলে ঢাকা ছাড়ে এবং রাতের দিকে চট্টগ্রামে পৌঁছায়। এর যাত্রা সময় তুলনামূলকভাবে দ্রুত এবং যাত্রীরা বেশ পরিষেবা উপভোগ করেন।

মহানগর প্রভাতী আরেকটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ট্রেন, যা প্রতিদিন সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছায়। এটি যাত্রীদের জন্য একটি আরামদায়ক ভ্রমণ এবং শহরের ব্যস্ত সময়সূচির মধ্যে একটি আদর্শ ট্রেন সেবা হিসেবে পরিচিত। সকালে যাত্রা শুরু করার কারণে, এটি কর্মব্যস্ত যাত্রীদের জন্য খুবই সুবিধাজনক।

তূর্ণা এক্সপ্রেস অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ট্রেন, যা সাধারণত রাতের বেলা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য ছেড়ে যায় এবং সকালে চট্টগ্রামে পৌঁছায়। এটি দীর্ঘ পথের যাত্রীর জন্য আরামদায়ক এবং নির্ভরযোগ্য পরিবহন সেবা সরবরাহ করে।

মহানগর এক্সপ্রেস ও একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন যা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করে। এই ট্রেনটি সকাল এবং বিকেল দুইটি সময়ে চলে, এবং দ্রুত যাত্রার জন্য অনেক যাত্রী এটি পছন্দ করেন।এই সকল ট্রেনের মাধ্যমে যাত্রীরা নিরাপদ, আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী ভ্রমণের সুবিধা পেয়ে থাকেন।

ট্রেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন এবং সতর্কতা

ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী মাঝে মাঝে পরিবর্তন হতে পারে, যা যাত্রীদের জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। রেলপথে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর সময়সূচি নানা কারণে পরিবর্তিত হতে পারে, যেমন যান্ত্রিক ত্রুটি, আবহাওয়ার অবস্থা, বা কোনো বিশেষ কারণে চলাচল বন্ধ থাকা। তাই ট্রেন ভ্রমণের আগে সর্বশেষ সময়সূচি যাচাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে সময়সূচি সম্পর্কে আপডেট জানা যেতে পারে।

একইভাবে, বিশেষ দিন বা উৎসবের সময় ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা বাড়তে পারে, যা অধিকাংশ ট্রেনের যাত্রা সময় এবং সেবা পরিবর্তিত করতে পারে। অতএব, ভ্রমণের পরিকল্পনা করার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। প্রথমত, আগেই টিকিট বুকিং করা উচিত, বিশেষ করে পিক সিজনে। দ্বিতীয়ত, ট্রেনের আগমন এবং departure সময় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে, কারণ কখনও কখনও ট্রেন বিলম্বিত হতে পারে।
আরো পড়ুন:
এছাড়া, যাত্রীরা যদি সময়সূচির কোনো পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত না হন, তবে তারা স্টেশনে পৌঁছানোর পর হতাশ হতে পারেন। এজন্য পূর্বে সময়সূচি যাচাই এবং স্টেশনে পৌঁছানোর পর সঠিক তথ্য নেওয়া উচিত। ট্রেনের সময়সূচি ও সেবায় পরিবর্তন হওয়ায় সতর্ক থাকা এবং আগাম প্রস্তুতি নেওয়া ভ্রমণকে আরও সুষ্ঠু ও আরামদায়ক করে তোলে।

চট্টগ্রাম রুটে ট্রেনের বিভিন্ন শ্রেণী ও সুবিধা

চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণীর যাত্রী পরিবহন সুবিধা রয়েছে, যা যাত্রীদের প্রয়োজন ও আরামদায়কতা অনুযায়ী বিভিন্ন অপশন প্রদান করে। বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভিন্ন ধরনের শ্রেণী ও সেবার মাধ্যমে ভ্রমণকারীদের সুবিধা নিশ্চিত করে, যাতে তারা তাদের বাজেট এবং আরামদায়কতা অনুসারে সঠিক সেবা পেতে পারে।

প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য এসি স্লিপার এবং এসি চেয়ার কোচ রয়েছে, যা সম্পূর্ণ শীতল এবং আরামদায়ক। এই কোচগুলোতে যাত্রীরা ভালো মানের সিট এবং বিশেষ সুবিধা পান, যেমন চারপাশে নিরবতা এবং আরামদায়ক পরিবেশ। এসি স্লিপারে সফর করলে দীর্ঘ পথের যাত্রা আরও আরামদায়ক হয়ে ওঠে, বিশেষত গরমের সময়।

স্লিপার ক্লাস হলো আরেকটি জনপ্রিয় শ্রেণী, যেখানে যাত্রীদের জন্য সস্তা ভাড়া এবং বেসিক সুবিধা থাকে। এই শ্রেণীতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিধা না থাকলেও সস্তা এবং আরামদায়ক সিট থাকে, যা দীর্ঘ পথে চলার জন্য উপযুক্ত।

সিটিং ক্লাস হলো এক ধরনের শ্রেণী, যেখানে নির্দিষ্ট সিটে বসে ভ্রমণ করা যায়। এতে ভাড়া তুলনামূলকভাবে কম, তবে যাত্রা একদম আরামদায়ক হয় না। বিশেষত, এটি যারা কম খরচে ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য আদর্শ।প্রতিটি ট্রেনের কোচগুলোতে যাত্রীদের জন্য বেসিক সেবার পাশাপাশি সিকিউরিটি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সুবিধাজনক সিট ব্যবস্থা রাখা হয়, যাতে যাত্রীরা আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারেন। তাই, যাত্রীরা তাদের আরাম, প্রয়োজন এবং বাজেট অনুযায়ী শ্রেণী বেছে নিতে পারেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় টিপস

ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন ভ্রমণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস রয়েছে, যা যাত্রীদের নিরাপদ, আরামদায়ক এবং সুষ্ঠু যাত্রা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। প্রথমত, টিকিট আগাম বুকিং করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত পিক সিজনে বা উৎসবের সময়। এটি আপনাকে নিশ্চিত করে যে, আপনার যাত্রার জন্য সিট পাওয়া যাবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ট্রেনে উঠতে পারবেন। টিকিট বুক করার সময়, সময়সূচি ভালোভাবে যাচাই করে নিন, কারণ কখনো কখনো ট্রেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন হতে পারে।

দ্বিতীয়ত, যাত্রার পূর্বে সঠিক সময় স্টেশনে পৌঁছানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে স্টেশনে পৌঁছানো উচিত, যাতে আপনি চেক ইন এবং অন্যান্য প্রস্তুতি সময়মতো সম্পন্ন করতে পারেন। এছাড়া, রেলস্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং আপনার মূল্যবান জিনিসপত্র সুরক্ষিতভাবে রাখুন।
আরো পড়ুন:
তৃতীয়ত, ট্রেন ভ্রমণের সময় আরামদায়ক পোশাক পরিধান করুন, বিশেষত দীর্ঘ যাত্রার জন্য। এর পাশাপাশি, আপনার প্রয়োজনীয় খাবার ও পানীয় সঙ্গে রাখুন, যদিও ট্রেনে খাবার সেবা পাওয়া যায়, তবুও নিজে কিছু খাবার নেওয়া ভালো। এছাড়া, পানি ও সানস্ক্রিন সাথে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত গরমের দিনে।

সর্বশেষ, ট্রেনের সেবা সম্পর্কে জানুন এবং প্রয়োজনে স্টাফের সহায়তা নিন। কখনও কখনও ট্রেনের মধ্যে সেবা এবং সুবিধা সম্পর্কিত পরিবর্তন হতে পারে, তাই যাত্রার পূর্বে সেগুলি সম্পর্কে জানিয়ে রাখা উপকারী। এই টিপসগুলো আপনাকে নিরাপদ, আরামদায়ক এবং আনন্দদায়ক ট্রেন ভ্রমণ করতে সহায়তা করবে।

ঢাকা-টু-চট্টগ্রাম-ট্রেনের-সময়সূচী

ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের ভাড়া

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের ভাড়া যাত্রীদের ব্যবহৃত শ্রেণী, কোচ এবং সেবা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। বিভিন্ন শ্রেণী এবং ট্রেনের সুবিধার ওপর নির্ভর করে এই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত, এসি স্লিপার, এসি চেয়ার এবং নন-এসি স্লিপার কোচের ভাড়া আলাদা হয়।

এসি স্লিপার শ্রেণীর ট্রেনে ভাড়া তুলনামূলকভাবে বেশি হয়, তবে এটি আরামদায়ক এবং শীতল পরিবেশ প্রদান করে। এই শ্রেণীতে যাত্রীদের জন্য সিটগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকে, যা দীর্ঘ পথের যাত্রাকে আরামদায়ক করে তোলে। এসি স্লিপারের ভাড়া সাধারণত ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে হতে পারে, এটি ট্রেন এবং যাত্রা সময়ের উপর নির্ভর করে।

এসি চেয়ার কোচ হলো আরেকটি জনপ্রিয় শ্রেণী, যা সস্তার তুলনায় কিছুটা বেশি আরামদায়ক, তবে এখানে শোয়ার ব্যবস্থা নেই। এই শ্রেণীর ভাড়া সাধারণত ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা হয়, যা যাত্রার সময় এবং ট্রেনের ওপর নির্ভর করে।

নন-এসি স্লিপার কোচ, যেটি সস্তা ভাড়া সুবিধা প্রদান করে, তাতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিধা থাকে না, তবে এটি কম ভাড়ার কারণে অনেক যাত্রীর কাছে জনপ্রিয়। এই শ্রেণীর ভাড়া সাধারণত ৩০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

ভাড়া এবং সেবার মান পরিবর্তিত হতে পারে, তাই যাত্রার আগে সর্বশেষ তথ্য রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ থেকে যাচাই করা উচিত। ভ্রমণের সময়, সিটের শ্রেণী, কোচের সুবিধা 
এবং ট্রেনের পরিষেবা অনুযায়ী যাত্রীদের জন্য ভাড়া নির্ধারিত হয়।
আরো পড়ুন:

FAQ/সাধারণ প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেন কখন ছাড়ে?
উত্তর: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের প্রধান ট্রেনগুলি সকাল, বিকেল এবং রাতে চলে।

প্রশ্ন: ঢাকার কোন স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের ট্রেন ছাড়ে?
উত্তর: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনগুলি সাধারণত ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাড়ে।

প্রশ্ন: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনে মোট কত ধরনের শ্রেণী রয়েছে?
উত্তর: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনে এসি, নন-এসি, স্লিপার এবং চেয়ার কোচসহ বেশ কয়েকটি শ্রেণী রয়েছে।

প্রশ্ন: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের ভাড়া কত?
উত্তর: ভাড়া যাত্রীদের শ্রেণী অনুযায়ী ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে পরিবর্তিত হয়।

প্রশ্ন: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচিতে কি পরিবর্তন হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, ট্রেনের সময়সূচি নানা কারণে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই যাচাই করা উচিত।

প্রশ্ন: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের কোন ট্রেন সবচেয়ে জনপ্রিয়?
উত্তর: সুবর্ণ এক্সপ্রেস এবং মহানগর প্রভাতী ট্রেন দুটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেন।

প্রশ্ন: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সবচেয়ে দ্রুত ট্রেন কোনটি?
উত্তর: সুবর্ণ এক্সপ্রেস একটি দ্রুত ট্রেন, যা কম সময়ে চট্টগ্রামে পৌঁছায়।

প্রশ্ন: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনে খাবার পাওয়া যায় কি?
উত্তর: কিছু ট্রেনে খাবারের সেবা পাওয়া যায়, তবে নিজের খাবার নেওয়া ভালো।

প্রশ্ন: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের জন্য টিকিট কিভাবে বুক করতে পারি?
উত্তর: টিকিট বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট অথবা নিকটস্থ রেলস্টেশন থেকে বুক করা যায়।

প্রশ্ন: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের দেরি হলে কি করণীয়?
উত্তর: ট্রেন দেরি হলে রেলওয়ের তথ্য যাচাই করুন বা স্টেশন অফিস থেকে সাহায্য নিন।

লেখকের মন্তব্য:ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী

ঢাকা টু চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী যাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক এবং নির্ভরযোগ্য ভ্রমণের সুযোগ প্রদান করে। বিভিন্ন ট্রেন যেমন সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী এবং তূর্ণা এক্সপ্রেস নিয়মিতভাবে যাত্রী পরিবহন করে, যা যাত্রীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন। ট্রেনের সময়সূচি সাধারণত সকালে, বিকেলে এবং রাতে থাকে, তবে যাত্রীরা সর্বশেষ তথ্য জানার জন্য সময়সূচি যাচাই করতে ভুলবেন না। তবে, সময়সূচিতে কখনও কখনও পরিবর্তন আসতে পারে, তাই আগেভাগে প্রস্তুতি নেওয়া এবং ট্রেনের তথ্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রিয় পাঠক, আশা করি এই কনটেন্টটি আপনার ভালো লাগবে ও এই কনটেন্টি পরে আপনি উপকৃত হবেন। যদি এ কনটেন্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হন তবে এটি আপনার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের কাছে শেয়ার করতে পারেন ।যাতে তারা এই কনটেন্টটি পড়ে উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টিপস কর্নারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url