-
সুন্দরবন এক্সপ্রেস
- ছেড়ে যায়: সকাল ৭:৪৫
- পৌঁছায়: দুপুর ১২:২০
-
চিত্রা এক্সপ্রেস
- ছেড়ে যায়: সকাল ৬:১০
- পৌঁছায়: দুপুর ১:০০
-
জাহানাবাদ এক্সপ্রেস
- ছেড়ে যায়: রাত ৮:০০
- পৌঁছায়: সকাল ১১:৪০
-
রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস
- ছেড়ে যায়: সকাল ১০:৪৫
- পৌঁছায়: দুপুর ২:৩০
-
খুলনা মেইল
- ছেড়ে যায়: রাত ১১:০০
- পৌঁছায়: সকাল ৯:০০
এগুলোর সময়সূচী ঋতু এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে
পরিবর্তিত হতে পারে, তাই যাত্রার পূর্বে সময়সূচী যাচাই করা
উচিত।
আরো পড়ুনঃঢাকা টু সীতাকুন্ড ট্রেনের সময়সূচী-ভাড়া ২০২৫ আপডেট
ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনে কত সময় লাগে?
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ট্রেনে যাত্রা করার সময় প্রায় ৬ থেকে ৭
ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে, যা রুটের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত
হতে পারে। তবে, বর্তমান সময়সূচী অনুযায়ী, পিডব্লিউডি বা
পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যোগাযোগ সহজ হওয়ায় যাত্রা সময় কিছুটা
কমেছে। পূর্বে যাত্রা সময় ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ছিল, তবে পদ্মা
সেতুর কারণে এটি বর্তমানে প্রায় ৬ ঘণ্টার মধ্যে হয়ে থাকে।
যাত্রার সময় বিভিন্ন ট্রেনের জন্য ভিন্ন হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ,
সুন্দরবন এক্সপ্রেস
এবং
চিত্রা এক্সপ্রেস
প্রায় ৬ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনায় পৌঁছায়, তবে
জাহানাবাদ এক্সপ্রেস
বা
খুলনা মেইল
রাতে চলাচল করার কারণে, কিছুটা সময় বেশি নিতে পারে।
যাত্রীদের সুবিধার্থে, ট্রেনের সময়সূচী সাধারণত কমলাপুর
স্টেশন থেকে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী চলে, কিন্তু যাত্রার আগে
এটি চেক করা উচিত, কারণ কোনো কারণে সময়সূচীতে পরিবর্তন আসতে
পারে।
অন্যদিকে, ঢাকা থেকে খুলনা রুটে ট্রেন যাত্রা একটি আরামদায়ক
অভিজ্ঞতা হতে পারে, কারণ ট্রেনগুলিতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা
রয়েছে, যেমন এসি কোচ, স্ন্যাক্স এবং টয়লেটের সুবিধা। তবে,
ট্রেনের চলাচল কিছুটা নির্ভর করে রেললাইন, স্টেশন এবং
ট্রেনের ধরন অনুযায়ী, তাই যাত্রীদের সময়সূচী অনুযায়ী
যথাসম্ভব আগেই স্টেশন পৌঁছানো উচিত।
ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনের ভাড়া কত?
ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনে ভাড়া ত্বণীয়ভাবে ট্রেনের ধরন, কোচের
সুবিধা এবং যাত্রার সময়ের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে
পারে। সাধারণত, বিভিন্ন শ্রেণীর টিকিটের জন্য আলাদা আলাদা
ভাড়া নির্ধারণ করা হয়।
সাধারণ শোভন (স্লিপার) ক্লাস
থেকে শুরু করে
এসি (এয়ার কন্ডিশন) ক্লাস
পর্যন্ত ভাড়া পরিসরে পরিবর্তন আসতে পারে। উদাহরণস্বরূপ,
সাধারণ শোভন ক্লাস-এর ভাড়া প্রায় ৩০০-৫০০ টাকা হতে পারে। তবে
এসি ক্লাস
বা
এসি সিট
থেকে ভাড়া অনেক বেশি হয়ে থাকে, যা ৮০০-১০০০ টাকার মধ্যে হতে
পারে, নির্ভর করে ট্রেনের ধরন এবং কোচের সুবিধার ওপর।
যাত্রীদের সুবিধার্থে ট্রেনের সিডিউল এবং ভাড়ার পরিমাণ
অনলাইনে বা বাংলাদেশ রেলওয়ে অফিসে চেক করা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিন অথবা সাপ্তাহিক
ছুটির মৌসুমে ভাড়া কিছুটা বাড়তেও পারে। চিত্রা
এক্সপ্রেস বা সুন্দরবন এক্সপ্রেস মতো সুপরিচিত
ট্রেনগুলোতে ভাড়া কিছুটা বেশি হতে পারে, কারণ এসব ট্রেনে
আধুনিক সুবিধা যেমন-এসি কোল্ড ড্রিঙ্কস ইত্যাদি পাওয়া
যায়
অন্যদিকে,
জাহানাবাদ এক্সপ্রেস
এবং
রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস
এর মতো ট্রেনে সাধারণ শোভন ক্লাস এবং মেনু শিথিল হওয়ায় ভাড়া
তুলনামূলকভাবে কম হতে পারে। এছাড়া, বিশেষ অফার বা ডিসকাউন্ট
থাকলে, যাত্রীদের জন্য ভাড়া আরও সাশ্রয়ী হতে পারে। সুতরাং,
যাত্রার আগে টিকিট মূল্য যাচাই করা সবসময়ই ভালো।
পরিবর্তন ও আপডেট সম্পর্কে জানুন
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ায় নিয়মিত পরিবর্তন ও
আপডেট হয়ে থাকে। বিশেষ করে, উৎসবকালীন বা ছুটির মৌসুমে
ট্রেনের সংখ্যা এবং সময়সূচীতে পরিবর্তন আসতে পারে। গত কয়েক
বছরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর, ঢাকা খুলনা রুটে ট্রেন
চলাচলের সময় ও ভাড়ায় বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে। পদ্মা সেতু
চালু হওয়ার ফলে ট্রেনের চলাচল দ্রুত হয়েছে, এবং সময় কমে
এসেছে, যা যাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক হয়েছে। এখন, কিছু ট্রেন
রুটে যাত্রার সময় ১-২ ঘণ্টা কমেছে, ফলে যাত্রীরা আরও কম
সময়েই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন।
এছাড়া, বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়মিত আপডেটের মাধ্যমে যাত্রীদের
জানানো হয় যে, নতুন ট্রেন চালু, ট্রেনের কোচের ধরন পরিবর্তন
বা যাত্রার সময়সূচী সংশোধন করা হয়েছে কিনা। এমনকি, যখন তীব্র
গরম বা শীতের কারণে ট্রেনের যাত্রা শিডিউলে পরিবর্তন আসে,
তখন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও অন্যান্য
মাধ্যমের মাধ্যমে এই পরিবর্তনগুলো জানিয়ে দেয়।
ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়েও নিয়মিত আপডেট ঘটে। কোনো বিশেষ উপলক্ষে
ভাড়া বাড়ানো কিংবা কমানো হতে পারে, যেমন জাতীয় দিবস বা
ঈদ-উল-ফিতরের সময়। এছাড়া, ট্রেনের শেডিউল বা ভাড়া সম্পর্কে
সঠিক তথ্য জানার জন্য যাত্রীদের বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল
সাইট বা স্টেশন অফিসে যোগাযোগ করা উচিত। যেহেতু ট্রেনের
সময়সূচী এবং ভাড়া নানা কারণে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই নিয়মিত
আপডেট চেক করা গুরুত্বপূর্ণ।
চলমান সময়সূচী এবং গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন
ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনের চলমান সময়সূচী এবং গুরুত্বপূর্ণ
স্টেশন সম্পর্কে জানলে যাত্রীরা তাদের ট্রিপটি আরও সুগম করতে
পারেন। ঢাকা থেকে খুলনার ট্রেন চলাচল শুরু হয় সকাল থেকে রাত
পর্যন্ত, এবং প্রতিটি ট্রেন নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী বিভিন্ন
স্টেশনে থামে। উদাহরণস্বরূপ,
সুন্দরবন এক্সপ্রেস
এবং
চিত্রা এক্সপ্রেস
বেশ জনপ্রিয় ট্রেন, যেগুলো ঢাকা থেকে খুলনা রুটে চলাচল করে
এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে থামে। প্রধান স্টেশনগুলো
যেমন
নওয়াপাড়া,
সিঙ্গিয়া জংশন, নড়াইল,
ভাঙ্গা,
এবং
খুলনা রেলওয়ে স্টেশন
অন্যতম।
এছাড়া,
জাহানাবাদ এক্সপ্রেস
এবং
রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস
এমন ট্রেন, যেগুলো একই রুটে চলাচল করলেও তাদের থামার
স্টেশনগুলো কিছুটা আলাদা হতে পারে, তবে এই ট্রেনগুলোও
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের সুবিধার্থে
থামে। যাত্রীদের জন্য স্টেশনগুলো গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখানে
ট্রেনের যাত্রার সময়, টিকিট সংগ্রহ, খাবার এবং অন্যান্য
সুবিধা পাওয়া যায়।
বর্তমানে, ঢাকা খুলনা রুটে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ট্রেনের
চলাচল আরও দ্রুত হয়েছে এবং সময়সূচীও কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে।
এই পরিবর্তন যাত্রীদের সুবিধা দিয়েছে, কারণ তারা কম সময়ে
গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। তাছাড়া, যাত্রার পূর্বে সঠিক
সময়সূচী এবং স্টেশনগুলো সম্পর্কে জানলে যাত্রীরা তাদের ভ্রমণ
আরো পরিকল্পিত ও আরামদায়ক করতে পারেন।
FAQ/সাধারণ প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: ঢাকা
থেকে খুলনা ট্রেনের সময় কী?
উত্তর:
ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনের সময় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিন্ন
ভিন্ন ট্রেনের মাধ্যমে চলে। যাত্রার সময় নির্ভর করে ট্রেনের
ধরন ও শিডিউলের উপর।
প্রশ্ন:
ঢাকা খুলনা ট্রেনে কত সময় লাগে?
উত্তর:
ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনে সাধারণত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা সময় লাগে,
তবে রুট ও ট্রেনের ধরন অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
প্রশ্ন:
কোন ট্রেনটি ঢাকা খুলনা রুটে সবচেয়ে দ্রুত চলে?
উত্তর:
সুন্দরবন এক্সপ্রেস
এবং
চিত্রা এক্সপ্রেস
দ্রুততম ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে।
প্রশ্ন:
ঢাকা খুলনা ট্রেনে ভাড়া কত?
উত্তর:
ঢাকা খুলনা ট্রেনের ভাড়া সাধারণ শোভন ক্লাসে ৩০০-৫০০ টাকা
এবং এসি ক্লাসে ৮০০-১০০০ টাকা হতে পারে।
প্রশ্ন:
ঢাকা খুলনা ট্রেনে কোন স্টেশনগুলো রয়েছে?
উত্তর:
গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলো হল: নওয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া, নড়াইল,
ভাঙ্গা, এবং খুলনা স্টেশন।
প্রশ্ন:
ঢাকা খুলনা ট্রেনে এসি কোচ থাকে কি?
উত্তর:
হ্যাঁ, বেশ কিছু ট্রেনে এসি কোচ রয়েছে, যেমন
চিত্রা এক্সপ্রেস
এবং
সুন্দরবন এক্সপ্রেস।
প্রশ্ন:
ঢাকা খুলনা ট্রেনের টিকিট কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর:
ঢাকা খুলনা ট্রেনের টিকিট বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট কাউন্টার
বা অনলাইনে পাওয়া যায়।
প্রশ্ন:
ট্রেনের শিডিউলে কোনো পরিবর্তন হয় কি?
উত্তর:
হ্যাঁ, ট্রেনের শিডিউল বিশেষ কারণে পরিবর্তিত হতে পারে, যেমন
রেলপথের কাজ বা ঋতুভিত্তিক পরিবর্তন।
প্রশ্ন:
ঢাকা খুলনা ট্রেনের কোনো রাতের ট্রেন আছে?
উত্তর:
হ্যাঁ,
জাহানাবাদ এক্সপ্রেস
একটি রাতের ট্রেন, যা রাত ৮টায় ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে
ছেড়ে যায়।
প্রশ্ন:
ঢাকা খুলনা ট্রেনের শিডিউল কোথায় চেক করা যায়?
উত্তর:
ট্রেনের শিডিউল বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অথবা
স্টেশন থেকে চেক করা যায়।
লেখকের মন্তব্য:ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী যাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক
এবং পরিবর্তনশীল। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর ট্রেন চলাচলে
সময়সীমা কমেছে, যা যাত্রীদের দ্রুত এবং আরামদায়ক যাত্রার
সুবিধা দিয়েছে। তবে, বিভিন্ন ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া ট্রেনের
ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। তাই যাত্রার পূর্বে সময়সূচী ও
ভাড়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রিয় পাঠক, আশা করি এই কনটেন্টটি আপনার ভালো লাগবে
ও এই কনটেন্টি পরে আপনি উপকৃত হবেন। যদি এ কনটেন্টটি
পড়ে আপনি উপকৃত হন তবে এটি আপনার আত্মীয়-স্বজন ও
বন্ধু-বান্ধবের কাছে শেয়ার করতে পারেন ।যাতে তারা এই
কনটেন্টটি পড়ে উপকৃত হতে পারে।
বিডি টিপস কর্নারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url